জন্ম নিবন্ধন সনদ সংশোধন

📌 ক। আক্ষরিক সংশোধন

  • টিস্যু ফাইল (জন্মনিবন্ধন অনলাইন কপি)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা (যদি থাকে)
  • পিতা-মাতার ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের রঙিন কপি
  • সচল মোবাইল নাম্বার
  • ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কাউন্সিলর সত্যায়িত কপি (সীল ও স্বাক্ষরসহ)

📌 খ। পুরোপুরি সংশোধন

  • টিস্যু ফাইল (জন্মনিবন্ধন অনলাইন কপি)
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (যদি থাকে)
  • নোটারি/এফিডেভিট
  • পিতা-মাতার জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল কপি ও জাতীয় পরিচয়পত্র
  • পিতা/মাতার নামের প্রমাণপত্র (দলিল, ইউটিলিটি বিল ইত্যাদি)
  • ওয়ারিশ সনদ
  • ভাইবোন থাকলে সকলের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন/জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • সচল মোবাইল নাম্বার
  • ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কাউন্সিলর সত্যায়িত কপি (সীল ও স্বাক্ষরসহ)
  • বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে ১ বছরের মধ্যে সংশোধন করা যায় উপযুক্ত প্রমাণসহ

🧾 সংশোধনের ফি (Fee)

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফি সংশোধনের ধরন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। নিচে বিস্তারিত তালিকা দেওয়া হলো:

সংশোধনের ধরনফি (টাকা)
✅ নাম, পিতার নাম বা মাতার নাম সংশোধন৫০ টাকা
✅ বয়স বা জন্ম তারিখ সংশোধন১০০ টাকা

📌 জরুরি আবেদন বা দেরিতে সংশোধনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি প্রযোজ্য হতে পারে।

* জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং নোটারি/এফিডেভিট প্রয়োজন হয়। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন।

📷 সংশোধিত জন্ম সনদ কেমন হতে পারে:

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নমুনা সনদপত্র
প্রশ্ন ১: সংশোধনের পর নতুন জন্ম সনদ কীভাবে পাবো?

সংশোধনের পর সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/ইউনিয়ন ডিজিটালি আপডেটেড জন্ম সনদ প্রদান করে। আপনি অনলাইনে বা সরাসরি অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন।

প্রশ্ন ২: আবেদন রিজেক্ট হলে কী করবো?

আবেদনে ভুল বা অসম্পূর্ণ কাগজ থাকলে তা রিজেক্ট হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে সংশোধিত ও সঠিক ডকুমেন্ট সংযুক্ত করে পুনরায় আবেদন করতে হবে।

প্রশ্ন ৩: একজন ব্যক্তি কয়বার জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে পারে?

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনবার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের সুযোগ পান। আপনি যখন জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন (জন্মনিবন্ধন নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে লগইন করে), তখন সিস্টেমে স্পষ্টভাবে দেখা যাবে — এটি আপনার কততম সংশোধন।

প্রশ্ন ৪: জন্ম তারিখ সংশোধনের জন্য কী প্রমাণপত্র লাগে?

জন্ম তারিখ সংশোধনের ক্ষেত্রে সাধারণত শিক্ষাগত সনদ, হাসপাতালে দেওয়া জন্ম সনদ, বা জাতীয় পরিচয়পত্র প্রয়োজন হয়। এর সাথে একটি অ্যাফিডেভিট এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্রও যুক্ত করতে হয়।

প্রশ্ন ৫: অনলাইন আবেদন করলে অফিসে যেতে হবে কি?

হ্যাঁ, অনলাইন আবেদন করলেও অনেক ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভার অফিসে যাচাইয়ের জন্য ডাকা হতে পারে। কাগজপত্র জমা ও ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের জন্য অফিসে যাওয়া লাগতে পারে।

প্রশ্ন ৬: কি কি কারণে আবেদন বাতিল (Rejected) হতে পারে?

জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের আবেদন বাতিল হতে পারে যদি:

  • কাগজপত্র অসম্পূর্ণ বা ভুল হয়
  • তথ্যের সাথে ডকুমেন্ট মিলে না
  • আবেদন তথ্য বিভ্রান্তিকর হয়
  • অতিরিক্ত বার সংশোধন চাওয়া হয়

আবেদন বাতিল হলে, ভুলগুলো সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করতে হয়।

📂 আর্জেন্ট প্রসেস জানতে ✅

২-৩ কর্মদিবসে জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধন আর্জেন্ট করা সম্ভব।

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

    Leave a Reply

    Your email address will not be published. Required fields are marked *