জন্মনিবন্ধন আবেদন কেন জরুরি? জন্মনিবন্ধন না করা হলে কোন সমস্যা হবে ?
বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধন আবেদন এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। বর্তমানে অনলাইনে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করলেই আবেদন সম্পন্ন করা সম্ভব। তাছাড়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকভাবে জমা দিলে প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হয় এবং নাগরিক সুবিধা গ্রহণে কোনো অসুবিধা হয় না।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, পাসপোর্ট তৈরি, জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) গ্রহণ, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি, এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার মতো মৌলিক ও প্রয়োজনীয় কাজগুলোও করা সম্ভব হয় না।
তাই প্রতিটি শিশুর জন্মের পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জন্ম নিবন্ধন আবেদন করা অত্যন্ত জরুরি। এখন প্রশ্ন হলো—জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে কী কী লাগে, এবং কীভাবে আবেদন করবেন, আর কোথায় যেতে হবে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।
✅ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
অনলাইনে জন্মনিবন্ধন আবেদন করার ধাপ
- টিকার কার্ড (ইপিআই কার্ড)
- পিতার ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র
- মাতার ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র
- ওয়ার্ড কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র
- বিদ্যুৎ বিলের কাগজ
- বাসা/বাড়ির হোল্ডিং কাগজ
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের প্রত্যয়নপত্র
- প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ(যদি থাকে)
- একটি সচল মোবাইল নম্বর
📌 গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
অনলাইন ভিত্তিক আবেদন করতে হবে এবং আবেদন করার সময় উপরের সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে রাখতে হবে। আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনার ওয়ার্ড কাউন্সিলর/চেয়ারম্যান-এর কাছে অনলাইন আবেদন কপিটি নিয়ে যান। তিনি কপিটি শীল ও স্বাক্ষর করবেন।
এরপর কপিটি এবং উপরের সকল কাগজপত্রসহ সিটি কর্পোরেশন/ইউনিয়ন পরিষদের নিবন্ধন দপ্তরে জমা দিন। সাধারণত ১৫-২০ কর্মদিবসের মধ্যে জন্মনিবন্ধন প্রদান করা হয়। অতিরিক্ত সময় লাগলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করুন।
📄 ডিজিটাল জন্মনিবন্ধন দেখতে সাধারণত এ রকম হবে, তবে অঞ্চলভেদে আলাদা হতে পারে:

কোনো প্রকার সহায়তা প্রয়োজন হলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। যতটা সম্ভব হেল্প করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন বাতিল হলে করণীয়
- ভুল তথ্য সংশোধন করে পুনরায় আবেদন করুন।
- স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভায় যোগাযোগ করুন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করান।
পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিয়ে নিবন্ধন, উত্তরাধিকার দাবিসহ নানা সরকারি-বেসরকারি কাজে জন্ম নিবন্ধন অপরিহার্য।
জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। দেরিতে করলে অতিরিক্ত কাগজপত্র ও অনুমোদন প্রয়োজন হয়।
সাধারণত ১৫-২০ কর্মদিবসের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন প্রস্তুত হয়। তবে এলাকায় ভিন্নতা থাকতে পারে।
সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে সংশোধন আবেদন করতে হবে। সঠিক তথ্য প্রমাণে SSC সনদ, পাসপোর্ট, NID, কাবিননামা, হলফনামা ইত্যাদি কাগজপত্র লাগতে পারে।
নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনলাইন কপি বা নতুন প্রিন্ট কপি নেওয়া যায়। হারানো সংক্রান্ত জিডি করতে হতে পারে।
সাধারণত নোটারাইজড হলফনামা, পত্রিকায় নাম পরিবর্তন বিজ্ঞপ্তি (প্রযোজ্য হলে), NID/পাসপোর্ট/শিক্ষাগত সনদ ইত্যাদি জমা দিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ লাগতে পারে।
না। জন্মতারিখ পরিবর্তন অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়; সাধারণত প্রামাণ্য সরকারি নথি, চিকিৎসা নথি বা আদালতের আদেশ ছাড়া এটি হয় না।
যাবে। সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাস/হাইকমিশন এর মাধ্যমে বা দেশে স্থায়ী ঠিকানার সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে প্রযোজ্য কাগজপত্র দিয়ে নিবন্ধন করা যায়।